ময়মনসিংহে যৌতুকের জন্য নির্যাতন চালিয়ে সানজিদা আক্তার রেমি নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
নিহত রেমি নগরীর ভাটিকাশর জমির বেপারী বাইলেন এলাকার এমমাদ হোসেনের মেয়ে এবং স্বামী শুভ নগরীর চরপাড়া কপিক্ষেত এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে।
সোমবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার। এর আগে সোমবার সকালে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত রেমির বাবা এমদাদ হোসেন অভিযেগ করে বলেন, যৌতুকের জন্য নির্যাতন চালিয়ে রেমিকে হত্যা করে মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছে স্বামীসহ তার পরিবারের লোকজন। হাসপাতালে রেমি মারা গেলেও আমাকে মোবাইল ফোনে জানানো হয়, রেমি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। রেমির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত রয়েছে। আর তাই রেমির স্বামী শুভ ও শ্বশুর জাহাঙ্গীর হোসেনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১০ মাস আগে শুভর সঙ্গে রেমির বিয়ে হয়। বিয়ের পর পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক চেয়ে স্ত্রীর ওপর নির্যাতন চালায় শুভ। জুয়া খেলায় বাজিতে হেরে টাকার জন্য রেমিকে মারধর করায় সংসার বাঁচাতে এক লাখ দেন রেমির বাবা এমদাদ। কিন্তু আবারও টাকা চেয়ে নির্যাতন শুরু করে শুভ।
রোববার রাতে যৌতুকের টাকার জন্য গালাগাল ও নির্যাতন চালায় সে। এতে এক পর্যায়ে রেমি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই রেমির স্বামী ও শ্বশুর পলাতক। ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।